সন্তু মুখোপাধ্যায়(১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১): আজ জেলা বইমেলাতে ঘাটাল মহকুমার কবিদের কবিতাপাঠের দিন ছিল। অনেকেই কবিতা পড়লেন ফেবুর পোস্টের মধ্য দিয়ে জানতে পারলাম। দেখেই চক্ষু চড়কগাছ! সেই একই মুখ ঘোরাফেরা করছে বিদ্যাসাগর মেলা থেকে শিশু মেলা, সুভাষ মেলা থেকে বইমেলা। হ্যাঁ আপনারা হয়ত লিখছেন হয়ত ঘাটাল মহকুমাতে আপনারাই লিখছেন! আপনাদের কবিতাও হয়ত উৎকৃষ্ট। কিন্তু বারবার একই মুখ কেনো? মুখগুলো কি আপনাদের খুব কাছের? শুতে বসতে এমনকি ঘুমানোর সময় মনে পড়ে! অবাক লাগলো উদ্যোক্তাদের গতকালের একটা ঘটনা দেখে। শায়েরী প্রতিবাদ করেছিল যারা লিখছে তাদের কেনো আহ্বান করা হচ্ছে না! তার উত্তরে সঞ্চালক বললেন অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটানোর জন্য দুঃখিত। অথচ তাঁরাই গতবছর বইমেলার দিনে একটি পৃথক সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। বেশ করেছিলেন, ওঁরা তা করতেই পারেন তাহলে অনুষ্ঠানের বিঘ্ন তো আপনারাই প্রথম ঘটিয়েছিলেন গতবছর! শায়েরী নিজের কবিতা পড়ে চোখ বন্ধ করে নেমে যেতেই পারতো, কিন্তু না তা সে করেনি! মেরুদণ্ড সোজা রেখে প্রতিবাদটা করেছে।
এবার আসি আমাদের ঘাটাল মহকুমার কথাতে। যারা আজকে কবিতা পড়লেন,তাদের কবিতা শুনে ভালো লাগলো কিন্তু ঘাটাল মহকুমার কবিতাপাঠ হচ্ছে অথচ লক্ষ্মণ কর্মকার অনুপস্থিত! যে সৃজন পত্রিকা রাজ্যের সেরা লিটল ম্যাগ হিসাবে সম্মানিত হয়, সেই পত্রিকার সম্পাদককে দেখলাম না! কষ্ট হচ্ছে খুব।
কেশব মেট্যা,অনুপম মুখোপাধ্যায়,দুঃখানন্দ মণ্ডল, সুশান্ত সৎপতি, তপনজ্যোতি মাজী,সুকান্ত সিংহ, শ্রীতনু চৌধুরী, সুশান্ত আদক,মৌপর্ণা মুখোপাধ্যায়,সুজিত মান্না,বিভাস ভূঞা(অনেক নাম বাদ থেকে গেলো) কাউকে তো দেখলাম না! কারা ছিলেন কবিদের নাম নির্বাচনে, জানি না! তবে ওঁরা মহকুমার সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের সম্পর্কে কতটুকু খবর রাখেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে! জানি না কতটা ওঁরা নিরপেক্ষ! সরকারী সাহিত্য অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও যদি রাজনৈতিক বিভাজন শুরু হয়,পরিচিত মুখের কদর করা হয় তাহলে এই ব্যবস্থাকে আমি ঘেন্না করি৷ আবার বলছি “ঘেন্না করি”।