মন্দিরা মাজি, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে( ধর্মতলা) নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্ত [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের ধরনা চলছে। আজ তার ১২০ তম দিন। এটি তাদের তৃতীয় পর্যায়ের জন্য ধরনা এমনটাই জানিয়েছেন ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে অরাজনৈতিক ভাবে ২৯ দিনের অনশন করেছিলেন বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। সমস্যা না মেটায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন
তাঁরা করেছিলেন। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ জানিয়েছেন, তাঁরা ২০১৬ সালের ফাস্ট স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও চাকরিতে নিয়োগপত্র পাননি অথচ মেধাতালিকায় তাদের অনেক পিছনের দিকে থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে বহু প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি মেধাতালিকায় কোথাও নাম নেই এমন ফেলকরা বহু প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ জানিয়েছেন যে গেজেটে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও চাকরি প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করেননি পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস
কমিশন। গেজেটে উল্লেখিত ১:১.৪ অনুপাতে শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়োগের নিয়ম ও লঙ্ঘন করেছে কমিশন। শুধুমাত্র চাকরি প্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর, র্যাঙ্ক ভিত্তিক সাধারণ মেধাতালিকা প্রকাশের পরেও রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিতের মতো বিষয়গুলিতে নতুন চাকরি প্রার্থীদের নাম অবৈধভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত শিক্ষক- শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, খেটেখাওয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবার গুলির সন্তান। যাঁরা মেধাতালিকায় থেকেও নিয়োগপত্র পাননি। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে অনশন মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হবে না। প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করে হলে ও তাদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু ২০১৯ সালে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালেও এসেও কার্যকর হয়নি। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন করা হোক। যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো- অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে তারা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাদের ভরসা রয়েছে। তাই অতি দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য কাতর আবেদন রেখেছেন যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের স্টেট কো- অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল।