সৌমেন মিশ্র: বিষধর চন্দ্রবোড়ার কামড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু দাসপুর-১ ব্লকের পাঁচবেড়িয়া হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র জিৎ চক্রবর্তীর। শুক্রবার ১৬ অক্টোবর দুপুর প্রায় ২টা ৪০ নাগাদ বাড়ির সামিনের শীতলা মন্দিরের সামনে বিষধর চন্দ্রবোড়া কামড়ালে তাকে প্রথমে পীতপুর এবং ওই দিনই পরে তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। কলকাতায়ও এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে বারে বারে স্থানান্তরিত করা হতে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর দুপুরে কলকাতায়ই চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ছাত্রের এই আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশাপাশি হাসপাতালের ডাক্তারদের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন দাসপুরের সর্প গবেষক তথা গোমকপতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বুড়াই। তিনি বলেন,সাপের কায়ামড়ের প্রথম ১০০ মিনিট ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রটিকে সাপে কামড়ানোর পর তাকে নিয়ে যাওয়া হল পীতপুর হাসপাতাল অথচ বাড়ি থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে ছিল সোনাখালি হাসপাতাল। সেখানেও এ ভি এস ছিল। অন্যদিকে পীতপুরে সাড়ে ৩টা নাগাদ রোগী পৌঁছে গেলেও তাকে বহুক্ষণ বসিয়ে রেখে বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টা নাগাদ প্রথম এ ভি এস দেওয়া হয়। পরে তাকে আবার কলকাতায় পাঠানো হয়। সুব্রতবাবুর আক্ষেপ সারা বছর ধরে সাপের দংশন থেকে বাঁচতে দাসপুর জুড়ে তাঁর প্রচারে খামতি নাই। তবুও মানুষ সচেতন নন,ডাক্তার তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে শুধুই চাইছেন অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে। প্রত্যেক বছর ঘাটাল মহকুমার বহু মানুষের মৃত্যু এই সাপের কামড়ে। বর্তমান প্রশাসন চারিদিকে উন্নয়ন করছেন। কিন্তু যেটা আসু প্রয়োজন সাপের কামড়ের সু চিকিৎসা এবং প্রচার সে বিষয়ে চরম অবহেলা ঘাটাল মহকুমা স্বাস্থ্য বিভাগেও। •সুব্রতবাবুর বক্তব্য শুনতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।