নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ: বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হ’ল ঘাটাল থানার শ্রীমন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দিশা খামরুইয়ের (১১)। দিশার বাড়ি শ্রীমন্তপুর গ্রামেই। দিশার বাবা নন্দলাল খামরই কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১২ মে শুক্রবার দিশাদের বাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে মিলে রাখা কাপড় আনতে গিয়েছিল। ওই সময় অসাবধানতাবশত কোনওভাবে সিঁড়ি থেকে বেশ কয়েকটা ধাপ নিচে পড়ে যায় দিশা। পড়ে গিয়ে মাথার পেছনের দিকে গুরুতর চোট পেয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। বাড়িতে সেই সময় দিশার মা সুজাতা খামরই ও দিশার ঠাকুমা ছিলেন। দিশাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আরামবাগে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে কলকাতার খিদিরপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন গত ১৩ মে দিশার মৃত্যু হয়। পরদিন ১৪ মে রবিবার দুপুরে দিশার নিথর দেহ গ্রামে নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে যান দিশার স্কুলের সমস্ত শিক্ষকরা। দিশার সমস্ত সহপাঠীরা বাড়িতে গিয়ে দিশাকে ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দিশার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজলকুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, পড়াশোনাতে খুবই ভাল ছিল দিশা। আপাত শান্ত স্বভাবের মেয়েটার যে এমন দুঘর্টনা ঘটবে আমরা ভাবতেই পারছি না। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকস্তব্ধ। ওই স্কুলের সহ শিক্ষক রথীন্দ্র কর্মকার, তরুণকুমার সিং, শ্যামল ডোগরা বলেন, দিশা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল। এই অবস্থায় ওই বাবা-মাকে যে কীভাবে স্বান্ত্বনা দেব বুঝে উঠতে পারছি না। [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]