বাবলু মান্না, 👆‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: বাঁশের সাঁকো পেয়ে খুশি দুই জেলার মানুষের পাশাপাশি আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন। এতদিন নৌকায় করেই পারাপার হতে হতো হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষকে। নদীর একপাড়ে দাসপুর-২ ব্লকের কৈজুরী গ্রাম এবং অপর পাড়ে হুগলী জেলার মাড়োখানা গ্রাম। এই দুটি গ্ৰামকে যুক্ত করেছে এই বাঁশের সাঁকোটি। কৈজুরী পানশিউলি খেয়াঘাট, যেখানে মুন্ডেশ্বরী নদী রূপনারায়ণ নদের সাথে মিলিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বন্যার সময় নৌকোতে করে পারাপার করতে নাজেহাল হতে হত মানুষকে।
আবার কখনও নদীর জলস্তর কমে গেলে মোটরবাইক, সাইকেল ইত্যাদি নিয়ে পারাপার করতেও সমস্যায় পড়তে হত নিত্য যাত্রীদের। অনেক সময় পা পিছলে গাড়ি সমেত কাদায় পড়ে যাওয়ার ঘটনাও এর আগে ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এমনই নানান সমস্যার পড়তে হত নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তাই এই সমস্যা দূর করতে গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নেন। প্রায় আটমাস আগে নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। বছরে একবার এই সাঁকোটির ডাক হয়,যার ফলে এর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে আগে নৌকোতে পারাপার করতে গেলে যেমন টাকা দিয়ে পার হতে হতো, তেমনি সাঁকো দিয়ে পার হতে গেলেও টাকা দিয়ে পার হতে হয়। বাঁশের সাঁকো পেয়ে খুশি স্থানীয়দের পাশাপাশি নিত্য যাত্রীরাও। সাঁকোটি দেখভাল করেন পাল পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য অসিত পাল জানান, আগে হুগলি জেলার কোন মানুষ অসুস্থ হলে তাঁকে নৌকোয় করে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে আসতে খুব অসুবিধায় পড়তে হতো। কিন্তু এখন সাঁকো হয়ে যাওয়ার ফলে এর উপর দিয়ে মারুতি অনায়াসেই পার হতে পারে। যে কারণে খুব সহজেই অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। আর এর ফলে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও অনেকটাই কমেছে এলাকায়। •আমাদের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/SthaniyaSambad.Ghatal/
•ইউটিউব চ্যানেল: https://www.youtube.com/SthaniyaSambad
•আমাদের সংবাদপত্রের মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en
•টেলিগ্রাম চ্যানেল: https://t.me/SthaniyaSambadGhatal