সুদীপ্ত শেঠ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘এক সেনা অফিসারের’ গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেছিলেন দাসপুর থানার উত্তরবাড়ের তেঁতুলতলার বাসিন্দা রঞ্জিত ধাড়া। অনলাইনের মাধ্যমে দু’বারে মোট ২০ হাজার টাকা অ্যাডভান্সও করেছিলেন। তারপর আর হদিশই পাওয়া যায়নি সেই ‘সেনা অফিসারের’। এমনটাই অভিযোগ করলেন রঞ্জিতবাবু।
রঞ্জিতবাবু বলেন, দিন কয়েক আগে ফেসবুকে একটা বিজ্ঞাপন দেখি এক সেনা অফিসার সেকেন্ডহ্যান্ড একটি অলটো-৮০০ গাড়ি বিক্রি করতে চান। ২০১৪ সালের ঝকঝকে গাড়িটির মূল্যও ঠিক হয় ৭০ হাজার টাকায়। পরেপরে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বেশ আলাপচারিতাও চলে। ‘সেনা অফিসার’ তার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করার জন্য তার ‘দপ্তরের’ অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গেও রঞ্জিতবাবুর আলাপ করিয়ে দেন। ‘সেনা অফিস’ চত্বরের বিভিন্ন ছবিও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। পাঠানো হয় গাড়ির মালিকের প্যান কার্ড এবং গাড়ি ব্লুবুকের ছবিও। এসবের ফলে রঞ্জিতবাবু একেবারে সন্দেহমুক্ত হন। ফলে রঞ্জিতবাবু দু’দিনে মোট ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। তারপর থেকে আর পাত্তা নেই সেই ‘সেনা অফিসারের’। ফোনও ধরছেন না তিনি। রঞ্জিতবাবু বলেন, পরে বুঝতে পারলাম আমি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলাম। যদিও এবিষয়ে তিনি এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি।
👆 আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলটি লাইক করুন
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপন দেখে গাড়ি কিনতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে দাসপুরের যুবক