তৃপ্তি পাল কর্মকার: ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয় চত্বরে ইংরেজ আমলের তৈরি দুটি ভবন অনেক দিন আগে থেকেই জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ভবনগুলির ওপর গাছপালা জন্মে ক্রমশ ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হতে চলেছিল। দেওয়ালের ফাটলে চলত সাপের নিত্য আনাগোনা। সিলিঙের পলেস্তারা খুলে খুলে পড়ত। আর বৃষ্টি হলে দেওয়াল আর ছাদ চুঁইয়ে জল আসার ঘটনা তো ছিলই। ভবনগুলির ওই দশা থাকলেও সেগুলি এত দিন কিন্তু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ কেউই নেননি। বরং সেই ভবনের একটিতে চলত অফিস অন্যটি স্টোররুম হিসেবে ব্যবহার করা হত। ঘাটালের বর্তমান মহকুমা শাসক অসীম পাল কয়েক মাস হল এই মহকুমায় এসেছেন। তিনি ঘাটালে যোগদান করার পরই আসে লোকসভার নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচন কেটে যাওয়ার পরই তিনি ওই জরাজীর্ণ ভবনগুলি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। মহকুমা শাসকের এই উদ্যোগে খুশি ওই অফিসের কর্মী-সহ মহকুমার মানুষ।
শুধু জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার বিষয়ে নয়, এই মহকুমা শাসকের কাজের গতিই ভিন্ন ধরনের। এই কদিনেই এক কথায় ‘কাজ পাগল’ অফিসার হিসেবে মহকুমা জুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। নিজের উদ্যোগে মহকুমা অফিস চত্বরেই ফ্লাড সেন্টার, মিটিং হল, ভিজিটরস রুম সহ অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। অফিসের কর্মীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। অন্যন্য পূর্বতন মহকুমা শাসকদের মতো ‘হিটলারি’ মনোভাব নেই। আর যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও প্রয়োজনেই সাধারণ মানুষ মহকুমা শাসকের সঙ্গে অতি সহজেই যেন দেখা করতে পারেন তাঁর ব্যবস্থাও করে রেখেছেন।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, মহকুমা শাসক হিসেবে অসীম পাল মহকুমাবাসীদের যে নতুন পথ দেখালেন তাঁর উত্তরসূরীরা এই পথে কি আদৌ চলবেন?