তৃপ্তি পাল কর্মকার: সকালে দাসপুর বাজারে মানিব্যাগ পকেটমারি হয়েছিল। সেই ব্যাগে ছিল ২২০০-২৩০০টাকা সহ অরিজিন্যাল আধার, প্যান, ভোটের কার্ড, কয়েকটি এটিএমও। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা ফিরে পাওয়া গেল। তবে নগদ টাকাগুলো পাওয়া যায়নি, বাকী সব নথি অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেলেন দাসপুর থানার হাজরাবেড় গ্রামের তাপস রানা কর্মকার।
ইন্টেরিয়র ডেকরেশন ফিল্ডের টেকনিসিয়ান তাপসবাবু উইকএন্ডে বাড়ি এসেছিলেন। বাড়ির সামনে কয়েকটি ছোট হাট বসলেও রবিবারের ছুটির দিনের ভালো মেনু বানানোর জন্য বাড়ি থেকে প্রায় ৬কিলোমিটার দূরে দাসপুর বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করার জন্য। তাপসবাবু বলেন, কয়েকটি সব্জি কিনে দামও দিয়েছি। কিন্তু তারপরই দেখি প্যান্টের পকেটে রাখা মানি ব্যাগ নেই। তারপই তিনি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণ পরেই আমাদের কাছে ফোন আসে খালি ব্যাগ ও নথিগুলি পাওয়া গিয়েছে। দাসপুর বকুলতলার এক ব্যবসায়ী বংশী প্রামাণিক ওই খালি মানি ব্যাগ ও নথিগুলি কুড়িয়ে পেয়ে ফোন করেছিলেন।
ঘটনাটা কী ঘটেছিল? বাস্তবে কোনও পকেটমারই বাজার থেকে তাপসবাবুর পকেট থেকে মানি ব্যাগটি হাতলে নেয়। তারপর টাকা বার করে নিয়ে ব্যাগটি বকুলতলা পেরিয়ে পিচরাস্তার ধারে তালপুকুরের সামনে ফেলে দেয়। বংশীবাবু ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাগটি দেখতে পেয়ে কুড়িয়ে আমাদেরকে ফোন করার ব্যবস্থা করেন।
বর্তমানে এটিএমের পিন নম্বর না জানলে কোনও কিছুই করা যায় না এবং অন্যের আধার ও ভোটার কার্ড অপর জনের কাজেও লাগে না। পুলিশ জানিয়েছে, তাই পকেটমারি করার পর পকেটমাররা মানি ব্যাগ থেকে টাকা বার করে নিয়ে সামনা সামনি কোথাও ফেলে দিয়ে চলে যায়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।