রবীন্দ্র কর্মকার ও মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: স্থানীয় সংবাদে খবর প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে নাইট শেল্টারের সামনে একটি ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দেওয়া হল। গত ২ ডিসেম্বর ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রোগীর পরিবার-পরিজনদের জন্য তৈরি নাইট শেল্টারের খবর আমরা আমাদের ডিজিটাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলাম।
হাসপাতালে আসা মানুষজনের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁরা অনেকেই নাইট শেল্টারের ব্যাপারে জানতেন না। আবার অনেকে তা জানলেও সেখানে থাকার খরচপাতির ব্যাপারে জানতেন না। কারণ ভবনটির সামনে সে ধরনের কোনও পোস্টার বা বোর্ড লাগানো ছিল না। আমাদের খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই সাধারণ মানুষ বিষয়টি বুঝতে পারেন। সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ওই ভবনটির সামনে একটি ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দেয়। যেখানে ভবনটিতে থাকতে গেলে কী কী বিধি-নিষেধ মানতে সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার পরিজনদের এতদিন বসার জন্য ও রাত্রিযাপনের জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ছিল না। বহুমূল্য টাকা ব্যয়ে অনেকদিন আগেই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল রোগীর পরিবার-পরিজনদের থাকার জন্য। কিন্তু এতদিন তা সঠিক কাজে ব্যবহৃত না হয়ে তালা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। কয়েক মাস আগে ভবনটি উদ্বোধন করে খুলে দেওয়া হয় মানুষজনের থাকার জন্য। হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের লোকজন ভবনটিতে বসে সময় কাটাতে পারেন। সেইসঙ্গে নিশ্চিন্তে রাত্রিবেলা থাকতেও পারেন। থাকার জন্য সুবন্দোবস্তও করা রয়েছে। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, ভবনটিতে রাত্রিবেলা থাকতে গেলে বা বসতে গেলে টাকা দিয়ে বসতে হবে। বসার জন্য মাথা পিছু ঘন্টায় দু’টাকা এবং এক রাত থাকার জন্য ১০ টাকা করে দিতে হবে।