শাবাশ ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারপার্সন বীরেশ্বর পাহাড়ি!

বিশেষ প্রতিবেদক: ক্ষীরপাই পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন বীরেশ্বর পাহাড়ি    পুরসভার স্টিয়ারিংটি বেশ কড়া হাতেই ধরেছেন। ঘাটাল মহকুমার  কোনও পুরসভার চেয়ারপার্সনকে এই চরিত্রে দেখা যায়নি। সেজন্য তাঁর প্রশংসা না করে থাকা যায় না। আগস্ট মাসে চেয়ারে বসেই ফুটপাত উচ্ছেদ, জবর দখল মুক্তি, অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা সিনার জোর না থাকলে হয় না। পুরসভা এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও বেশ তৎপর হয়েছেন। বীরেশ্বরবাবুকে তাঁর সাবলীল গতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্য ক্ষীরপাই পুরসভা এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই কৃতিত্বের অধিকারী। এত দিন পর্যন্ত শাসক দলের কয়েক জন নেতা টেবিলেন নীচের আদান-প্রদানের  বিনিময়ে যেকোনও কালোকে সাদা করে দিতেন তাঁরা এই মুহূর্তে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। কেউ দল থেকে চলে গিয়েছেন, কেউ বা শারীরিক ভাবে অসুস্থ।  ফলে বীরেশ্বরবাবুকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কারোর চরণ যুগলে

তৈল মর্দন করতে হয় না বা তাঁদের ‘বাণী’ মেনে চলতে হচ্ছে না।
কারণ, ওই পুরসভা এলাকায় এমন কয়েক জন নেতা রয়েছেন যাঁরা পুরসভা চালানোর ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। পুরসভার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখলে তাঁরা মুখে প্রতিবাদী মনোভাব দেখান। তাঁদের প্রতিবাদ দেখলে মনে হবে এরাই বোধ হয় ‘দিদির’ মতাদর্শে  একমাত্র বিশ্বাসী। কিন্তু ওই সমস্ত অন্যায়ের  প্রতিবাদ তাঁরা লোকদেখানো ভাবে করে থাকেন।  তাঁদেরকে ‘বিশেষ ভাবে’ সন্তুষ্ট করতে পারলে তাঁরা কালোকে সাদা করে দিতে কোনও রকম দ্বিধা করেন না। এই মুহূর্তে তাঁদের প্রভাবটা কম। এর আগের চেয়ারপার্সন দুর্গাশঙ্কর পান পুরসভার চেয়ারটাতে বসতে  খুব পছন্দ করতেন, ভালোবাসতেন। তাই ওই চেয়ারটিকে তাঁর নিজের জন্য বরাদ্দ করে রাখার জন্য তিনি অনেক কিছুতেই ‘না’ করার সাহস দেখাতে পারেননি।   কয়েক জন নেতা এবং পুরসভার বেশ কিছু কর্মী দুর্গাশঙ্করবাবুকে তাঁদের মর্জি

মতো করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন।  এই ধরনের পরিস্থিতি আর পরিবেশগুলো আপাতত নেই বলেই বীরেশ্বরবাবু নাগরিকদের দৃষ্টি কোণ থেকে পুরসভাটিকে চালাতে পারছেন।
এখন প্রশ্ন, তিনি কত দিন এই ভাবে চালাতে পারবেন? ওই সমস্ত নেতাগুলি স্বমহিমায় ফিরে এলে বীরেশ্বরবাবুর কাজের গতি কমে যেতে পারে। কারণ, পুরসভা এই ভাবে চলতে থাকলে তাঁদের রুজিতে টান পড়বে। রাজনীতি এখন অনেকের কাছেই অন্যতম একটি শিক্ষা-অর্থ বিনিয়োগ ছাড়াই ‘উৎকৃষ্ট’ পেশা। তাই কারোর পেটে টান পড়লে তিনি অনেক কিছুই করতে পারেন। তাঁরা বীরেশ্বরবাবুর এই ধরনের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক থেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। দ্বিতীয়ত, পাহাড়িবাবুর যদি ভোটে জেতার বাসনা জাগে  তাহলেও তাঁকে কিছু সুবিধাভোগীকে চটিয়ে এই ধরনের কাজ করার ইচ্ছেকে দমন করতে হবে। ভালো কাজ করলে অনেকেই চটে যান। চটে গেলে তিনি ভোট পাবেন না। যদিও বীরেশ্বরবাবু জানিয়েছেন, পদ আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে নেই। আমি মানুষের কাজ করে যেতে চাই।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: ss.ghatal@gmail.com •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।