মন্দিরা মাজি ও আকাশ দোলই, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ৮ জুলাই থেকে ঘাটাল থানা এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘাটাল থানার পুলিশের উদ্যোগে কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে সতর্ক করা হল। আজ ৯ জুলাই ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী, সিআই দেবাশিস ঘোষ, ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক
সহ পুলিস বাহিনী কন্টেইনমেন্ট জোনে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি এবং ওই এলাকার অন্যান্য বাড়িতে গিয়ে বাড়ি বাড়ি সতর্কতা জারি করে জানান, যতদিন এলাকাটি কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে ততদিন চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো যাবে না। তার সাথে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সচেতন করার পাশাপাশি ওই এলাকার মধ্যে থাকা নার্সিংহোম গুলি সঠিকভাবে কোভিড বিধি মেনে চিকিৎসা করছে কিনা
তাও খতিয়ে দেখা হয়। কন্টেইনমেন্ট জোনের নিয়ম-বিধি ভাঙ্গার জন্য পুলিশ ৫ জনকে আটকও করেছে বলে জানা গেছে।
ঘাটাল মহকুমায় মোট তিনটি থানা থাকলেও শুধু মাত্র ঘাটাল শহর এবং ঘাটাল থানার কয়েকটি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে তা হল, ঘাটাল শহরের কুশপাতার পেট্রোল পাম্প থেকে কুশপাতা মোড়, ঘাটাল কলেজ থেকে কুশপাতা শীতলা মন্দির, নিশ্চিন্দীপুরের দুধের বাঁধ থেকে নিশ্চিন্দীপুর স্কুল, কোন্নগরের ইরিগেশন অফিস থেকে মহাপাত্র পাড়া, কৃষ্ণনগর বেরা পাড়া থেকে ভারতী সিনেমা হল এবং গবিন্দপুরের দক্ষিণ পাড়া(কৃষ্ণ মন্দির)। ঘাটাল শহরের বাইরে রয়েছে দলপতিপুরের নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাত্র পাড়ার মনসা মন্দির এবং কুশমান শিব মন্দির থেকে কুশমান স্মৃতি সংঘ। ১৪ জুলাই পর্যন্ত ওই এলাকাগুলি কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
প্রসঙ্গত আজ আবার ঘাটাল থানার হরিদাসপুর গ্রাম এবং ঘোলা বাজার এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।