দাসপুর থানার গ্রামনাম: কোন গ্রামের নাম কেন হয়েছে
উমাশঙ্কর নিয়োগী, [অতিথি প্রতিবেদক]‘স্থানীয় সংবাদ’: ঘাটাল:সন্তানের প্রতি স্নেহ বশত বাবা মা আত্মজকে যে নাম দেন তা অনেক সময় নিরর্থক হতে পারে কিন্তু গ্রামনামের কোনও না কোনও অর্থ থাকে। তা কখনও অর্থহীন হয় না। আর বহু ক্ষেত্রেই নামগুলি বিশেষ ইঙ্গিত বহ। আমাদের দাসপুর থানার গ্রামনামও এর ব্যতিক্রমী নয়।
সুপ্রাচীন গ্রামগুলি বেশির ভাগই বৃক্ষ নামে পরিচিত হত। পূর্বে যে গাছকে কেন্দ্র করে গ্রামের নাম হয়েছে বর্তমানে সেই গাছ গ্রামে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেমন ‘বড় শিমুলিয়া’ ‘নবীন শিমুলিয়া’। ভাষাতত্ববিদদের মতে সংস্কৃত ‘শাল্মলি’ থেকে শিমুল শব্দটি সৃষ্টি নয়, বৈদিক ‘শিম্বল’ থেকে এসেছে। বৈদিক সাহিত্যে শিম্বল সব থেকে বড় বৃক্ষ। এই গ্রাম কম করে দুহাজার বছরের বেশি পুরোনো। ‘শিমুলতলা’ গ্রামটিও তাই। ‘নিমতলা’ বড় নিমগাছ ছিল। ‘বেল বেড়িয়া’ এখানে প্রচুর বেল গাছ ছিল এক সময়ে। বারাসত যেখান বারটি অশ্বত্থ গাছ আছে অশ্বত্থ> সাথ>সাত।‘পাঁচ গাছিয়া’ পাঁচটি বৃহৎ গাছ আছে, ‘দোগাছিয়া’ দুটি বৃহৎ গাছ আছে যেখানে। পাকুড়দান> ‘পাকুড়দানা’ দান শব্দ অন্য শব্দের পরে বসলে তার অর্থ হয় আধার যেন ফুলদান, আতরদান ইত্যাদি। এই গ্রামে পাকুড় গাছ ছিল অনেক। একটি গ্রামনাম ‘পটলা’ এখানে পর্যাপ্ত পটল হত? পলাশপাই>পলশপাই, ওড়িয়া ভাষায় পাই অর্থ জন্য। পলাশের জন্য এই গ্রামে যেত হত তাই পলশপাই। ‘বরুণা’ একটি গাছের নাম থেকে এসেছে। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কালকেতুর নগর পত্তনের সময় যেসব গাছ কেটে ফেলার কথা বলেছেন তার মধ্যে বরুণা একটি। ‘মাকাল পোতা’ যে পোতায় মাকাল লতা প্রচুর আছে >মাখালপোতা > মহাকাল পোতা। পল্লব বেড়া> পলতা বেড়া নাকি এক সময়ে প্রচুর পলতা তথা পটলের চাষ হত এই গ্রামে? কলাগেদে, কলাগাছিয়া, ‘সোনাখালি’ সোনা নামক গাছ হত প্রচুর। কলমি জোল> কোলমিজোড় । জোল অর্থ জল বেরিয়ে যাওয়ার পথ। এক কালে এই জোলে কলমি লতা প্রচুর হত। ধান কেটে নেবার পর মাঠে পড়ে থাকা অংশকে নাড়া বলে। গাবান তথা নীচু জমিতে বুনা ধানের চাষ হয়। ধান কাটার সময়েও জমিতে এত জল থাকে যে ধানের শিষগুলি কেটে আনতে হয়। জমিতে বড় বড় নাড়া পড়ে থাকে। নাড়া থেকে নাড়াজোল।লতাগুল্মের নামেও নামকরণ হত। বেনাই যেখান প্রচুর বেনা ঘাস আছে, কাশীআড়া কাশী ঘাস যে আড়া বা ডাঙাতে হয়। শর বন বেড় দিয়ে আছে যে গ্রামকে শরবেড়িয়া >সরবেড়িয়া। ‘নলদ’ নল ঘাসে পূর্ণ দহ বা দ। বন বিষ্ণুপুর। টিকরি অর্থ উঁচু জায়গা। কুল হয় যে উঁচু জমিতে কুলটিকরি। পাঁচটি বেড় বা বাগান যুক্ত গ্রাম পাঁচবেড়ে। শ্রীফল অর্থ বেল । শ্রেষ্ঠ বেল শ্রীবর। শ্রীবর >শ্রীবরা। সব থেকে ভালো বেল পাওয়া যেত এই গ্রামে। সীতাফল অর্থ আতা। এইখানে এক সময়ে প্রচুর আতা পাওয়া যেত তার থেকে সীতাপুর। শ্যামা ঘাসে পূর্ণ মাঠ। শ্যামামাট> সামাট। অনুরূপ সামাটবেড়িয়া। দুবরাজ এক প্রকার ভারতীয় ধানের প্রজাতি। এই বিশেষ প্রজাতির ধান চাষ করে এক সময় যে গ্রাম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল সেই গ্রামের নাম দুবরাজপুর।
বৃত্তির নামে গ্রাম। বৈদ্যপুর > বদ্যিপুর। কবিরাজদের গ্রাম, বৈদ্যক> বেজা>বাজুয়া। বেজা রামচন্দ্রপুর। বৈদ্য রামচন্দ্রের গ্রাম। কুমারচক, কুমোর বাসনের মেলা বসে এখানেই। শ্যাম মাঝির জাত। তন্তুকার>তাতার। রেশমের সুতো তৈরিকারীদের গ্রাম তাতারপুর। তাতার খাঁন। পাইকান লক্ষ্মী, পাইকান দুর্যোধন। পাইকদের বাসভুমি। কোটালপুর। যেখানে কোটালরা থাকতো। তিওয়র বেড়িয়া। বাড়ুই>খাটবাড়ুই, নিজামপুর, কলুদের আড়া>কলোড়া। বেহারা পাল্কি বাহক। যেখানে পাল্কি বাহকেরা বসবাস করে বেহারাচক>বেহারিচক। সাদি অর্থ অশ্বারোহী সৈনিক। অশ্বারোহী সৈনিকদের গ্রাম সাদিচক। গোদ্রব অর্থ মাছধরার জাল। যেখানে জেলেদের বসবাস বেশি গোদ্রবপুর>গোদাইপুর। গোপী অর্থ গোয়ালিনী। পূর্বে গোয়ালিনীরা দুগ্ধজাত সামগ্রী বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত। রূপনারায়ণ নদীর তীরে দুগ্ধজাত সামগ্রীর একটি গঞ্জ গড়ে উঠে। এখানে গোপীদের প্রাধান্য ছিল। সেই জন্য গোপীদের গঞ্জ। >গোপীগঞ্জ। ‘কাতি’ অর্থ শাঁখকাটা করাত। কাতিল এসেছে কাতি থেকে। যে গ্রামে প্রচুর কাতি চলে সেই গ্রাম কাতিলপুর। কাতিলপুর>কাদিল পুর। কাদিলপুরের পাশের গ্রাম ফকির বাজার। জৈনক ফকিরের নামে বাজার। ফকির অর্থ এখানে দরবেশ নয়। সেখানে শাঁখা সহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি হত।র্তমানে বাজার নেই। কিন্তু স্মৃতি থেকে গিয়েছে। দাসপুর অনেকের মতে এখানের অনেকেই গৃহভৃত্যের কাজ করতেন বলে দাসপুর আবার কারো মতে জেলেদের, দাসদের বসবাস বেশি ছিল তাই দাসপুর। এক সময়ে দাসপুর রেশম ও রেশমবস্ত্রের জন্য সুবিখ্যাত ছিল। রেশম ও রেশমজাত পণ্য নৌকা যোগে চালান যেত। যে ঘাটের ধারে পণ্য গাদি দেওয়া হত সেটি গাদিঘাট। রসিক নামের কারো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গঞ্জের নাম রসিকগঞ্জ। আজুরা অর্থ পারিশ্রমিক। কোনও কিছুর পারিশ্রমিক হিসেব এই গ্রাম কেউ পেয়েছিলেন তার জন্য আজুরা। আজুরা>আজুড়া। অথবা আজব রকম জোড়ার কারিগর বসবাস করে যে গ্রামে ,আজব জুড়িয়ে> আজ্জুড়িয়ে >আজুড়ে। নদীপথে পরিবহণ ও উৎকৃষ্ট এঁটেল মাটির জন্য এই গ্রামে সব থেকে বেশি কুম্ভকার ও কর্মকারের বহুদিনের বসবাস। কাঁসা পিতল ও মাটির হাঁড়ি কলসী আজব রকম জুড়ে এখানে। তাই কি আজুড়ে?
কিছু গ্রাম নামের সঙ্গে ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি জড়িত আছে। যেমন হোসেনপুর। জনশ্রুতি অনুসারে চাঁদ খাঁ পীরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ) এই স্থানে অবস্থান করেন। চাঁদপুর গ্রামের নাম এই চাঁদ খাঁ পীরের নাম থেকেই হয়েছে। চাঁদদিঘি নামে পরিচিত চাঁদপুর গ্রামের একটি মজে যাওয়া দিঘির তিনটি পাড় এখনো সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। বিদ্রোহী শোভা সিংহের পিতা দুর্জয় সিংহ রাজনগরে রাজধানী স্থাপন করেন। সম্ভবত তখন থেকেই গ্রামটির নাম রাজনগর। ঐতিহাসিক পঞ্চানন রায়ের মতে অদূরবর্তী পাইকান দুর্যোধন গ্রামনাম এসেছে পাইকান দুর্জয়ধাম থেকে। দাউদপুর >দাদপুর। উড়িষ্যায় পলায়নরত পাঠান সুলতান দাউদ খাঁকে অনুসরণ করে চেতুয়া পরগনাতে আকবরের সেনাপতি মূনিম খাঁ ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে এসেছিলেন। হয়তো দাউদ খাঁ এই গ্রামে শিবির করেন তারই স্মৃতি বহন করছে দাদপুর। চতুর্দশ শতাব্দীর সুফি সাধক বদী-উদ্দিন-শাহ- ই -মদারের অনুগামী ফকির মজনু শাহ ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ছাব্বিশ বছর ফকির ও সন্ন্যাসীদের ঐক্য বজায় রেখেছিলেন। সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অন্যতম নেতৃত্ব মজনু শাহ মদারি। চক মাদারিয়া এই মাদারিয়া সুফি সমাজের স্মৃতি বাহক। চক শব্দটি পূর্বে ও পরে বসে। চক অর্থ অন্য মৌজায় থাকা জমি। চক সুলতান, সিংহ চক, শ্যাম চক,রানি চক ইত্যাদি। এগুলিও ইতিহাসের ইঙ্গিত বহ।
গ্রামের আরাধ্য দেবতার নাম অনুসারে বহু গ্রামের নাম আছে। যেমন,বাসুদেবপুর, রাধাকান্তপুর, শ্যামসুন্দরপুর, রামপুর, ধর্মপুর>ধরমপুর, ধর্মসাগর, ধর্মা, পুরুষোত্তমপুর গোবিন্দনগর, গৌর> গৌরা। ক্ষেপাই মায়ের নাম থেকে খেপুত। ক্ষুদ্র কুঁড়েতে আরাধিত হন এমন চণ্ডী। খুকুঁড়ে চণ্ডী>খুকুড়চণ্ডী। দহের পাশে পূজিত হন এমন চণ্ডী যে গ্রামে। খুকুড়দহ ইত্যাদি।
ব্যক্তি নামে বা পদবী নামে অনেক গ্রামের নাম আছে। জোৎ ভগবান, জোৎ গৌরাঙ্গ, জোৎ কানুরাম গড়, জোৎ ঈশব> জোতিসব, ভূঁঞ্যা আড়া এখানে ভূঁঞ্যারা প্রথম বসবাস আরম্ভ করেন। আড়া খাঁন> আড়খানা। প্রাচীর বেষ্টিত স্থান বাটি। জগন্নাথ বাটি। জনৈক জগন্নাথের পাঁচিল ঘেরা ঘর ছিল। অনুরূপ রামবাটি। ডিহি অর্থ কতগুলো গ্রামের সমষ্টি। এক সময়ে গ্রামের সঙ্গে বেশ কিছু গ্রাম যুক্ত চিল। বর্তমানে নেই। ভিহি চিতুয়া>চেতুয়া ডিহি বলিহারপুর, ডিহি পলশা, ডিহি রামনগর ইত্যাদি। কিসমৎ অর্থ ভাগ্য। কিসমৎ রাধাকান্তপুর অর্থ রাধাকান্ত পুরের সমৃদ্ধ অংশ। অনুরূপ কিসমৎ কলোড়া ইত্যাদি।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নামে এমন গ্রাম আছে যে গ্রামে মুসলমান নেই। জালালপুর, দাদপুর
হোসেনপুর, সুলতাননগর। হাবিব পুর, শাহ বাজার, রসুল পুর,সৈয়দ করিম, বাঁওড়> বাড় অর্থ স্রোতহীন জলে ঘেরা স্থলভূমি । বাড় জালালপুর, বাড় কাশেম পুর মহবৎপুর, রসুলপুর,আলিপুর প্রভৃতি মুসলমান নামের গ্রাম অনেক আছে দাসপুর থানায়।
চাঁই(প্রধান, অগ্রণী) পাটন(নগর) চাঁইপাটন>চাঁইপাট। দরিয়া (জলবেষ্টিত স্থান)>দরি, ভোঁতা আঞ্চলিক ভাষা। ভোঁতা অর্থ উঁচু ভিটে। ভোঁতা>ভূঁতা >ভূতা। খঞ্জর অর্থ কামানের গোলা, ছোরা, তরবারি। যে গ্রামে এক সময়ে খঞ্জর তৈরি হত তাই খঞ্জরপুর।খঞ্জরপুর> খাঞ্জারপুর> খাঞ্জাপুর। অতি সুন্দর তরবারি তৈরি করত মনোহর নামের ব্যক্তি তার গ্রাম খাঞ্জামনোহরপুর। অবশ্য খঞ্জন পাখির নাম অনুসারেও হতে পারে। যে গ্রামের অনেকে চারুকলা বিদ্যা দান করতেন সেই গ্রাম দানিকলা। ‘দুধকুমড়ো<স দুগ্ধ + কুষ্মাণ্ড।’ দুধ ও কুমড়ো যেখান থেকে প্রচুর বিপণন হয় তাই দুধকুমড়ো >দুধকোমরা। খাঁড় অর্থ খণ্ডিত অংশ। রাধাকৃষ্ণ পুরের খণ্ডিত অংশ খাড় রাধাকৃষ্ণপুর। গেড়্যা ( ছোট পুকুর ) >গেড়ে। কইগেড়ে,মাছগেড়ে। মাছের নাম যুক্ত গ্রাম কইজুড়ি, মাগুরিয়া, চক বোয়ালিয়া ইত্যাদি। সুকুমার সেন তাঁর স্থাননাম গ্রন্থে লিখেছেন,‘চেঁচাই(=যেখানে তেতুলতলায় গ্রামদেবী আছেন।)চিঞ্চা-আর্যিকা।’ চিঞ্চা > চেঁচা >চেঁচুয়া। এককালে দাসপুরের সমৃদ্ধি কারণ ছিল গুটিপোকার চাষ। তারই স্মৃতি রক্ষা করছে গুঁড়লি। গুটলি >গুঁড়লি। কুণ্ড থেকে এককালে পানীয় জল সংগ্রহ করা হত। কুণ্ডের নাম থেকে অনেক গ্রামের নাম হয়েছে । সীতাকুণ্ড, রাইকুণ্ড, কলাইকুণ্ড, বিউলিকলাই, কলাই নামে পরিচিত। কলাইয়ের ডাল। যে কুণ্ডের পাড়ে কলাই চাষ হত। বচ (একধরণের গুল্ম) আড়া>বচড়া>বাছড়াকুণ্ড।
বিবাদের মীমাংসা হত যে গ্রামে মজলিসপুর। সয়লা শব্দটি মেয়েদের অনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধুত্ব স্থাপন ‘সইলা’ বা সয়ালা থেকে এসেছে। এই গ্রামের কোনও দুজন মহিলার সখীত্বের অমর ইতিহাস গ্রামনাম সয়লা। ভাষাতত্ববিদ সুকুমার সেন আরাত্রিক থেকে আরতি এসেছে জানিয়েছেন। এর অর্থ নিরাপদে যে গ্রামে রাত কাটানো যায়। নদীপথে গোপীগঞ্জ থেকে হাওড়া জেলা সহ অন্যান্য জেলার বাণিজ্য পথ ছিল দাসপুরের। প্রয়োজনে অতিথিপরায়ণ এই গ্রামে রাত কাটাতো মানুষ। আরতি >আরটি>আরিট। থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম ‘সীমানা ‘কাঁটাদরজা, কেবল ধান হত যে গ্রামে। ধান্যখালি>ধানখাল। বাঁশখালি>বাঁশখাল। ব্রাহ্মণ বসানো হয়েছিল যে গ্রামে ব্রাহ্মণবসান।
দক্ষিণ ঝরিয়া উত্তর ঝরিয়া দুটি মৌজা। এখানে দুটি ঝোরা ছিল। ঝোরা অর্থ প্রাকৃতিক ভাবে যেখান দিয়ে সর্বদা জল ঝরে। ঝরিয়া>ঝোরা। এখন ঝোরা নেই কিন্তু গ্রামনাম স্মৃতি বয়ে চলছে। দক্ষিণ মৌজায় লোক বসতি ২২ জনের। চাঁইপাট গ্রামের জন সংখ্যা ১৬৩৪৫। দাসপুর-১ এ মৌজা ১৫৭ আর দাসপুর-২ এ ৮৭টি মৌজা আছে। গ্রাম সংখ্যা বেশি। সমস্ত গ্রাম নাম নিয়ে আলোচনা করা গেল না।
পরিশেষে জানাই, আমি ভাষাতত্ববিদ নই। পণ্ডিত প্রবর সুকুমার সেন , প্রত্নতত্ববিদ তারাপদ সাঁতার প্রমুখের বই পড়ে নিজের স্বল্প জ্ঞান বুদ্ধি মতো আমাদের থানার গ্রামনামের অর্থ খোঁজার চেষ্টা করেছি মাত্র। [•উমাশঙ্করবাবু বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক। দাসপুর-১ ব্লকের নন্দনপুর হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত বাংলার শিক্ষক। M: 81160 68322 ]
•ঋণ স্বীকার
—‘বাংলা স্থাননাম’: সুকুমার সেন
—‘রচনা সংগ্রহ’ (১ম খণ্ড): তারাপদ সাঁতরা
—‘লৌকিক শব্দকোষ’: শ্রীকামিনী কুমার রায়
—‘ঘাটালের কথা’: পঞ্চানন রায় কাব্যতীর্থ ও প্রণব রায়
—‘দাসপুরের ইতিহাস’: শ্রী পঞ্চানন রায় কাব্যতীর্থ
—‘ভ্রাম্যমান পাঠাগার’: সুকান্ত সিংহ