মন্দিরা মাজি👆স্থানীয় সংবাদ•ঘাটাল:দাসপুর-২ ব্লকের চরমানকুর ও শ্রীবরা গ্ৰামে নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা, নাজেহাল গ্ৰামবাসীরা। বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। অনেকের বাড়ির মধ্যেও জল প্রবেশ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ২৬ মে যশের জেরে রূপনারায়ণ নদে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। সেই থেকেই চরমানকুর ও শ্রীবরা গ্ৰাম দুটি বিশেষ করে পূর্ব দিকের এলাকাগুলির বহু পরিবার এখনও জলমগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। আটকে রয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন দুধকোমরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক পাত্র। তিনি বলেন, আমাদের হাতে নেই এই বিষয়টি। আমরা সেচ দপ্তরে জানিয়েছি কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ গ্ৰহণ না করায় আমরা তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে দাসপুর-২ ব্লকের দূর্বাচটি খাল সংস্কারের কাজ চলছে। দাসপুর-১ ব্লকের তেমোহানি থেকে শ্রীবরার রূপনারায়ণ নদ পর্যন্ত প্রায় ৮০কোটি টাকা দিয়ে ওই খালটি সংস্কারের কাজ কয়েক মাস আগেই শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেচ দপ্তরের ঠিকাদাররা অপরিকল্পিতভাবে এবং অবৈজ্ঞানিকভাবে খালের বালি, মাটি যেখানে সেখানে ফেলে ভরাট করছেন। সেচ দপ্তরে জানিয়েও কোনও কাজের কাজ হয়নি বলে জানান গ্ৰামের বাসিন্দারা। তার ওপর এইভাবে যেখানে-সেখানে মাটি, বালি ফেলার ফলেই ওই দুটি গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা হয়েছে। দুটি গ্রামের বেশ কিছু রাস্তা ডুবে গিয়েছে। কিছুকিছু বাড়ির মধ্যেও জল প্রবেশ করে গিয়েছে। ঘাটাল মহকুমা সেচ ও জলপথ দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমিত দাস জানিয়েছেন, এলাকায় তেমন কোনো নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এই অবস্থা। তবে আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ নিয়ে এলাকার কিছু মানুষের সাথে কথাবার্তা হয়েছে। এই সপ্তাহে বিষয়টি আলোচনার জন্য একটি মিটিং রয়েছে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গণেশবাবু জানান, আজ ১৩ জুন দুধকোমরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক পাত্র এলাকাটি পরিদর্শনে এসেছিলেন। তারপর জল নিকাশির জন্য একটি নালা তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।