বাবলু মান্না: নদী থেকে বালি উত্তোলনের জন্য কয়েকটি ভেসেল এখন রীতিমত তাসের আড্ডা হয়ে উঠেছে। দাসপুর-২ ব্লকের কুল্টিকরীতে গতবছর লকডাউন চলাকালীন বহু চর্চিত একটি ঘটনা ঘটেছিল যেটি হল অবৈধ বালি খনন।কোনও এক চক্র রাতের অন্ধকারে খনন কাজ চালাচ্ছিল বলে জানা যায়। যেটিকে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।ওই চক্রটিকে কুল্টকরীর কাছে রূপনারায়ণ নদীতে, গোপিগঞ্জ-শ্রীবরাগামী রাস্তার পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত জমিতে একটি বড়সড় গর্ত খনন করতে দেখা গিয়েছিল।বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে এলে তারা রীতিমতো হকচকিয়ে যান।একদম রাস্তার গা ঘেঁষে গর্তটি করার ফলে রূপনারায়ণের জলস্তর বৃদ্ধির সময় বিস্তর ক্ষতি হতে পারে, সেই কারণে এলাকার লোক জমায়েত হয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর পেয়ে দাসপুর-২ ব্লকের সমষ্টি ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন আধিকারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং তৎক্ষণাৎ ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় যন্ত্রাংশ সিজ করে নেন। ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত কোনও লোকের তখন পাত্তা পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তারা এই গ্রামেরই একজনের ভাড়া বাড়িতে থাকতো সেখানেই কাজের সঙ্গে যুক্ত বাকি যন্ত্রাংশগুলো রাখা থাকতো। দাসপুর-২ সমষ্টি ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন আধিকারিক দফতরের পক্ষ থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত সমস্ত যন্ত্রপাতি মেশিনপত্র সিজ করা হলেও, কিছু যন্ত্রপাতি যেমন ভেসেল, পাইপ, কাছি ইত্যাদি ওই ভাড়াবাড়ির রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ওই সমস্ত জিনিসপত্রগুলি কেউ দাবী না করায় গ্রামের কিছু যুবক এখন তিনটি ভেসেল টলিতে করে নিয়ে গিয়ে একটি তাসের আড্ডার মাচা তৈরির কাজে লাগাচ্ছে।