নিজস্ব সংবাদদাতা: আন্দোলন যাঁরা পরিচালনা করেন তাঁদের ন্যূনতম বুদ্ধি ও বাস্তববোধ থাকা দরকার। ঘাটাল শহরের গুরুদাস হাইস্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক চণ্ডীদাস গড়াইকে মুক্তির দাবিতে যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন তাঁরা কী বুঝে কচিকাঁচাদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন তা ঠিক উপলব্ধ নয়। একটা বিচারাধীন বন্দির মুক্তির দাবি নিয়ে কেন কম বয়সের ছাত্রছাত্রীদের পেছনে ইন্ধন জুগিয়ে দিনের পর দিন আন্দোলন করাচ্ছেন? তাঁরা কি একটুও ভেবে দেখেননি যে,এই আন্দোলনের নিট ফল শূন্য? আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখেননি যে, এই অবস্থায় যত বড় আন্দোলনই সংগঠিত করা হোক সেই আন্দোলনের জেরে শিক্ষককে মুক্তি করানো যাবে না? নাকি এরা মিডিয়ার শিরোনামে আসার জন্য ওই ছাত্রছাত্রীদের বলির পাঁঠা করছেন? এতে স্কুলের ক্লাস নষ্ট হচ্ছে। ভালো ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। এলাকায় একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে ওই ধারাবাহিক আন্দোলন বন্ধ করতে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদেরও একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, ওই শিক্ষক স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তারপর থেকে স্কুলের পড়ুয়াদের দিয়ে নানান ধরনের আন্দোলন করানো হচ্ছে। পড়ুয়াদের দাবি, ওই শিক্ষক নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা যা দাবি করছেন সবই হয়তো ঠিক, শিক্ষক নির্দোষ। তবে এই ভাবে আন্দোলন করারটা ভষ্মে ঘি ঢালা ছাড়া আর কিছুই হবে না।