তৃপ্তি পাল কর্মকার: ২ নভেম্বর মহকুমা শাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে ল্যাপটপ প্রতারণা করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতী ধরা পড়ল। উপরের ছবিটি সেই ‘কীর্তিমান’। নাম পলাশ ঘোষ। বাড়ি বেনাই এলাকায়। আজ ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় দাসপুরের বেনাই এলাকা থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২ নভেম্বর নিজেকে ঘাটাল মহকুমা অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়ে অভিনব উপায়ে ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে পালিয়েছিল পলাশ। ওই দিন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে খোদ ঘাটাল মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে। ঘাটাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, পলাশ বরাবরই দুষ্কর্ম করে বেড়ায়। বহু যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা হাতিয়েছে পলাশ।পুলিশসুত্রে জানা গিয়েছে, ২ নভেম্বর দুপুরে পলাশ ঘাটাল শহরের কলেজ মোড়ের বাসন্তী মেডিক্যালের পাশের পার্থ মাইতির কম্পিউটার দোকানে যায়। নিজেকে মহকুমা শাসকের অফিসের স্টাফ বলে পরিচয় দিয়ে দোকানে গিয়ে একটি ল্যাপটপ মহকুমা শাসকের অফিসে নিয়ে যেতে বলে। দোকানদার সেই মতো একটি ল্যাপটপ এসডিও অফিসে নিয়েও যান। মহকুমা শাসকের চেম্বারের কাছে গিয়ে পলাশ দোকানদারকে জানায়, মহকুমা শাসক এখন কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তাকে ল্যাপটপটি দিয়ে যেতে বলে। সেই সঙ্গে পলাশ দোকানদারকে বলে পরে এসডিও’র সঙ্গে দেখা করে যেতে। ওই কথা মতো দোকানদার কিছুক্ষণ পর মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে ল্যাপটপের খোঁজ নিতে গেলে বিষয়টি প্রতারণার ঘটনাটি জানাজানি হয়। তখনই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার প্রায় দু সপ্তাহ পর দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ল্যাপটপটি হাতিয়ে নেওয়ার পরই পলাশ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল।