নিজস্ব সংবাদদাতা: রামজীবনপুরে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগকে ঘিরে বিতর্ক উঠল। আজ ২৩ অক্টোবর পৌরসভার কার্যালয়ে বিজেপির তরফে একটি তলবী সভা ডাকা হয়।ওই সভাতেই দলের এক কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করে ক্ষমতায় বসানো। এনিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, ঘটনাটি অবৈধ। এভাবে তলবী সভাতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা যায় না। রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন বিজেপি কাউন্সিলাররা। নির্মলবাবু বলেন…
আজকের তলবী সভায় বিজেপির কাউন্সিলাররা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন গোবিন্দপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে।
রামজীবনপুর পুরসভার মোট আসন ১১টি। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে ওই পুরসভায় সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির অঘোষিত জোট হয়। ফলাফলে দেখা যায় ১১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় পাঁচটি। ওই জোট ছ’টি আসন পায়। জোটের ছ’টি আসনের মধ্যে বিজেপি দুটি ওয়ার্ড থেকে জেতে। সিপিএম তাদের প্রতীকে কোনও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি। বোর্ড গঠনের আগে বিজেপি-সিপিএমের জোটের নির্দল এক প্রার্থী শিউলী সিংহভট্টাচার্য তৃণমূলে যোগদান করলে তাঁকে ভাইসচেয়ারম্যান করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিজেপিতে যোগদান করেন রামজীবনপুর পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলার শিবরাম দাস। ফলে ১১ আসন বিশিষ্ট ওই পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলারের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির কাউন্সিলাররা নির্মলবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। কিন্তু আস্থা ভোটে জেতার জন্য নিয়ম মতো ১৫ দিনের মধ্যে নির্মলবাবু কোনও সভা ডাকেননি। তাই আজ বিজেপির কাউন্সিলারটা তলবী সভা ডাকার ব্যবস্থা করেন। সেখানেই গোবিন্দবাবুকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে চেয়ারে বসিয়ে দেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, রামজীবনপুরে অবৈধভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতা রামকুমার দে বলেন, আমরা যা করেছি হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেই করেছি।