তৃপ্তি পাল কর্মকার ও রবীন্দ্র কর্মকার: প্রায় অর্ধশত সদস্যদের নিয়ে একান্নবর্তী পরিবার। আজকের দিনে
এমন একান্নবর্তী পরিবার আমাদের সচরাচর দেখার সুযোগ হয় না। পরিবারের অর্ধশত সদস্যের রান্না হয় একই হাঁড়িতে। না, কোনও গল্প বা সিনেমার কাহিনী নয়। দাসপুর-২ ব্লকের ইসবপুর গ্রামের অধিকারী পরিবারে এলে এখনও এরকম চিত্রই দেখতে পাবেন।যে পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব, কর্তব্য, সুখ-দুঃখ এক সুতোয় বাঁধা। যে পরিবারের আনন্দ, হৈ চৈ দেখলে তরুণ মজুমদারের চাঁদের বাড়ি সিনেমার কথা মনে পড়ে যায়, সত্যি দেখেছেন কি আজকের দিনে এমন পরিবার? ওই পরিবারের যখন সব্জিকাটা হয় সেই দৃশ্য দেখলে মনে হবে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। রান্না ঘরেও মহিলাদের হৈ-হুল্লোড় করে চলে রান্নার আয়োজন। পরিবারের সদস্যদের বারব্রত বা জন্মদিন কোনও অনুষ্ঠানেই আয়োজনের ঘাটতি থাকে না। ইসবপুর গ্রামের অধিকারী পরিবারের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৮। বিবাহিত মেয়েদের ধরলে পরিবারের সদস্যসংখ্যা সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে যায়।পরিবারের প্রথম পুরুষরা সাত ভাই, এক বোন। দিন দিন বেড়েছে সদস্যসংখ্যা। বেড়েছে দায়িত্ব কর্তব্যও। সদস্যদের কারো বিয়ের আয়োজনে সবাই দায়িত্ব ভাগ করে নেন, কেউ অসুস্থ হলেও সেই দায়িত্ব সবার। এমন বড়ো পরিবার টিকিয়ে রাখতে হলে যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সেই মানসিকতাই আজকের দিনে বিরল। অধিকারী পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরাও একান্নবর্তী পরিবারের বন্ধন থেকে বেরিয়ে আসতে চান না। তাঁরাও আন্তরিক ভাবে এই একান্নবর্তী পরিবার টিকিয়ে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।