১৯৯৩ সাল,কয়েকজন গৃহ শিক্ষক চাকরির আশা ত্যাগ করে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সাথে সমাজকে কিছু দেওয়ার লক্ষ্যে স্থাপনা করলেন এক নার্সারি প্রাভেট বিদ্যালয়ের,নাম দিলেন বিবেকানন্দ একাডেমি। দাসপুর-১ ব্লকের রাজনগরের সেই বিদ্যালয়ের আজ রজত জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল।
আজ সেই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তমলুক রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের মহারাজ স্বামী মহাতপানন্দজী মহারাজ। বিদ্যালয়ের আজকের এই শুভদিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি তাঁর বক্তব্যে এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রশংসা করে জানান,তিনি নিজেও একটি প্রাইভেট স্কুল চালান তাই বোঝেন কত পরিশ্রম লাগে, কত নিষ্ঠা লাগে,শিক্ষার্থীদের কতটা পারদর্শী করে তুলতে হয় পাঠের সাথে সাথে অন্যন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক গুলিতেও,তবেই আসে পাশের আর পাঁচটা প্রাইভেট স্কুলের সাথে টেক্কা দিয়ে প্রতিযোগিতায় নিজেদের বিদ্যালয়কে টিকিয়ে রাখা যায়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইঞা,দাসপুর-১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সভাপতি সুনীল ভৌমিক,রাজনগর ইউনিয়ন হাস্কুলের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তথা এই বিদ্যালয়ের অন্যতম সদস্য সনৎ কুমার চট্যোপাধ্যায় , সমাজকর্মী সুকুমার পাত্র ছাড়াও একাধিক শিক্ষা জগতের ব্যক্তিত্ব। প্রত্যেকেই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ও নিয়মানুবর্তিতার প্রশংসা করেন। বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চারশো। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক কমল সামন্ত নস্টালজিক হয়ে পড়েন তাঁর বক্তব্যে। কীভাবে মাত্র কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে নিদারুণ আর্থিক অনটনের মধ্যেও নিজেরা বেতন না নিয়ে দিনের পর দিন বিদ্যালয়ের স্বার্থে শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। আজ তাঁদের স্বপ্ন সফল। বিদ্যালয় পেয়েছে তার নিজস্ব ভবন আছে তার নিজস্ব শিক্ষক শিক্ষিকা। আজ ঘটা করে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের ভবন প্রাঙ্গনেই অনুষ্ঠিত হল তাদের স্বপ্নের রজতজয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠান।