সুদীপ্ত শেঠ, দাসপুর: দখলে রাস্তা,বিপদে মানুষ! তাতে থোড়াই কেয়ার! রমরমিয়ে ব্যবসা চালাতে রাস্তার দুই ধার নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া ইমারতি ব্যবসায়ীরা! তালিকায় বাদ যাচ্ছেনা বাংলার গ্রামীন সড়ক যোজনার সল্প দৈর্ঘের রাস্তাও৷ বালি, ইট, স্টোন চিপস লাট করে সারি-সারি পড়ে রয়েছে ব্যস্ত রাস্তার দুই ধারে৷ কখনো তা আবার রাস্তার ওপরেই দীর্ঘ দিন ফেলে রেখে একেবারে নিশ্চিন্তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷ এর ফলে নিত্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের৷ ক্রমশ সংকীর্ণ ওই সকল সড়কে যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন অনেকেই৷ গোপীগঞ্জ-সুলতাননগর, চাঁইপাট-রানিচক, ফরিদপুর-জোতঘনশ্যাম,গৌরা-শ্যামগঞ্জ,দাসপুর-সাগরপুর সহ একাধীক রাস্তার হাল এখন এমনই৷ প্রাশাসনের তরফে ব্যবসায়ীদের মাইক প্রচার করে একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি দাবি বাসীন্দাদের৷ সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় গ্রামের রাস্তাগুলি যাতে কোন ক্ষতির সম্মুখিন না হয় তাঁর জন্য ভারি যানবাহন চলাচলে রাশ টানতে বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অথচ ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে ওভার লোড ট্রাক নিয়ে অবাধে ইমারতি ব্যবসা চলানোর অভিযোগ তুলছেন ওই সকল এলাকার বাসীন্দারা৷ চাঁইপাটের বাসীন্দা সুকুমার রুইদাস বলেন, [quote style=’1′ cite=”]প্রতিদিন আমি গোপীগঞ্জ সড়ক ধরে প্রাতভ্রমন করি৷ রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা বালি,স্টোনচিপস রাস্তার ওপরে এসে পড়ে৷ বেশ কয়েক বার তো হোঁচট খেয়ে পড়েও গিয়েছিলাম৷ [/quote]প্রতিদিন আমি গোপীগঞ্জ সড়ক ধরে প্রাতভ্রমন করি৷ রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা বালি,স্টোনচিপস রাস্তার ওপরে এসে পড়ে৷ বেশ কয়েক বার তো হোঁচট খেয়ে পড়েও গিয়েছিলাম৷ তেতুলতলা গঞ্জের বিজয় মন্ডল বলেন, [quote style=’1′ cite=”]রানিচক সড়ক ধরে চাঁইপাট স্কুলে বহু ছাত্রছাত্রী নিত্য যাওয়া আসা করে৷ রাস্তায় পড়ে থাকা বালিতে ‘কন্যাশ্রীর সাইকেল’ আটকে পড়েছে লক্ষ করেছি বেশ কয়েক বার৷ [/quote]রানিচক সড়ক ধরে চাঁইপাট স্কুলে বহু ছাত্রছাত্রী নিত্য যাওয়া আসা করে৷ রাস্তায় পড়ে থাকা বালিতে ‘কন্যাশ্রীর সাইকেল’ আটকে পড়েছে লক্ষ করেছি বেশ কয়েক বার৷ বাসীন্দাদের দাবি এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানালে উল্টে প্রশ্নের সুরে যুক্তি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন,রাস্তার কাজের জন্য জিনিস, রাখবো কোথায়? আবার কেউকেউ তো রীতামতো চোখ রাঙিয়ে বলেন, এটা তোমার জায়গা? তুমি বলবে কেন?
অবশ্য এই সকল যুক্তি যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কৌশলি অজুহাত তেমনটাই দাবি ভুক্তভোগীদের৷
দাসপুর এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতাদের সাথে বাড়ির কাছে পর্যন্ত ইমারতি দ্রব্যের পৌঁছে দেওয়া চুক্তি হয়ে থাকে৷ সেই মতো রাস্তার এক ধারে ওই দ্রব্য মুজুত করতে হয়৷ ক্রেতারা ওই দ্রব্য দ্রুত সরিয়ে না নিয়ে গেলে, আমরা কী করতে পারি? ব্যবসা ও ক্রেতাদের সার্থে আমাদের এটুকু করতে হয়৷
সত্যটা যাই হোক, এর ফলে দিনের পর দিন যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের তা প্রমান করছে বাস্তব চিত্রটাই৷