૯ম্যাগাজিনের পথে সাহিত্য পত্রিকাগুলো,কিন্ত কেনো? শুলুক্ সন্ধানে আমরা

সৌমেন মিশ্র,দাসপুর:কাগজের ঘ্রাণ নিয়ে পূজা বার্ষিকী পড়া সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে প্রথম পছন্দ হলেও বর্তমান যুগের আধুনিক তরুণ সাহিত্যিক ও সাহিত্যপ্রেমীরা বেশি করে মেতেছে ই-ম্যাগাজিনে। ঘাটাল মহকুমা সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের জন্য বিখ্যাত গোটা রাজ্যজুড়ে। মহকুমা ছাপিয়ে আমাদের রাজ্য এমনকি বিশ্বের প্রথম বাংলা কবিতার ব্লগাজিন ‘বাক্’। বিশ্বজুড়ে তাদের পাঠক সংখ্যাও নেহাত কম নয়। দাসপুরের লিটিল-ম্যাগাজিনগুলির মধ্যে অন্যতম মহুল ও কোরাস।সম্প্রতি এই দুটি সাহিত্য পত্রিকাই তাদের ই-সংখ্যা প্রকাশ করছে। গতকাল মহালয়ার দিন তাদের পূজা সংখ্যা প্রকাশ করল। কিন্তু হঠাৎ কেন বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকাগুলি তাদের ওয়েব ভারশনে মন দিয়েছে?

             দুঃখানন্দ মণ্ডল(কোরাস,সম্পাদক)

কথাবলি কোরাস পত্রিকার সম্পাদক দুঃখানন্দ মণ্ডলের সাথে তিনি বলেন,[quote style=’1′ cite=”]কোরাস ১৩ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে দুটি করে সংখ্যা বছরে।এর পর সবার কাছে সাহিত্যকে পৌঁচ্ছে দেওয়ার জন্য নতুন প্রয়াস
e-কোরাস। আপনি ছেলের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য দামী ফোন কিনে দিয়েছে।আপনার সন্তান নেটের সাথে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলেছে।তাই কোরাস ১২ মাস ধরে e-কোরাস প্রকাশ করে চলেছে,প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে।আমাদের উদ্দেশ্য সবাই পড়ুক।আমাদের উদ্দেশ্য সবার মনে কথা সাহিত্য হয়ে প্রবেশ পাক।আপনিও দেখুন না আপনার ছেলের সাথে কোরাসের ই-ম্যাগাজিন। আসুন না পাড়ায় পাড়ায় হাঙ্গামা না করিয়ে নিজের সন্তানের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি, আর সমাজের কাছে বার্তা পাঠাই সুস্থ সমাজের।কোরাস এই কাজে ব্রতী।আসুন সাহিত্যের মধ্য দিয়ে সমাজের জন্য কিছু করি।[/quote]

                কেশব মেট্যা(সম্পাদক,মহুল)

সাহিত্য পত্রিকা মহুলের সম্পাদক কেশব মেট্যা বলেন,[quote style=’1′ cite=”]মহুল মূলত কবি ও কবিতা বিষয়ক পত্রিকা। দশবছর চলছে। আগে বছরে তিনটে করে সংখ্যা বের করতাম। এখন বছরে একটা। আগে অনেক বেশী সংখ্যায় ছাপাতাম। কলকাতা মেদিনীপুরে বিভিন্ন বুকস্টলে বিক্রিও হতো। জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি আয়োজিত লিটল ম্যাগাজিন মেলায় নন্দন রবীন্দ্রসদনে স্টল করার আমন্ত্রণ পেতাম। যেতাম। বইপত্র বিক্রিও হতো। এখন সে পরিস্থিতি নেই। নন্দন চত্বর থেকে মেলা সরে যাওয়ায় আমরা আর যাই না।
এইবছরই ওয়েব মহুল শুরু হয়েছে।তবে মূল কথাটি হলো এখন পাঠক কম। দর্শক বেশী। লোকজন পড়ে না। কথা বলে বেশী। মানুষের বন্ধু এখন মানুষ নয়। মানুষের বন্ধু মোবাইল। তাই ওয়েব। এই ওয়েব ম্যাগের মাধ্যমে সহজে অনেক মানুষের চোখের সামনে রাখতে পারি আমার কাজ। দেখাশোনা পরের ব্যাপার। এই যে একসঙগে এত রাশি রাশি চোখ পেয়ে যাচ্ছি কত সহজেই। খরচ কম। ঝক্কি ঝামেলাও কম। অন্তত ভারতীয় ডাকবিভাগের উপর নির্ভর করতে হয়না পত্রিকা আদান প্রদানের জন্য। ওয়েবে বোঝা যায় কতজন পাঠক আমরা পেলাম। মতামতও তৎক্ষণাৎ পেতে পারি।
তবে সেই গন্ধটা ! মুদ্রিত পত্রিকার এসেন্সটাই আলাদা হে। যেদিন বাড়িতে নতুন পত্রিকার প্যাকেট ঢোকে‚ মা বলে– কেমন একটা গন্ধ ছড়িয়ে আছে রে। মনেমনে বলতাম‚  ওসব অক্ষরের গন্ধ মা গো। আর ওয়েব মহুল বেরুলে মা সেই গন্ধটা পায় না। আমিও না।[/quote]

আধুনিক পাঠকরাও যেকোনো পত্রিকার ই-সংখ্যা নিয়ে বেশ আগ্রহী। দেখাগেছে আমাদের স্থানীয় সংবাদের কাগজের পেপারটি মাত্র ১০ হাজার প্রিন্ট করে প্রকাশ পেলেও আমাদের ওয়েবসাইট www.ghatal.net এ প্রকাশিত সেই কপির পিডিএফ বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক পাঠক পড়েন। আগের বছরই আমরা ঘাটাল মহকুমার পুজো গাইড হিসেবে eত্যাদি নামে একটি ই-ম্যাগাজিন প্রকাশ করি। দেখাগেছে প্রচুর মানুষের মোবাইলে সেই ম্যাগাজিন পৌঁছে গেছিল। কিন্তু তা বই আকারে প্রকাশিত হলে গুটি কয়েক পাঠকের কাছেই সীমাবদ্ধ থাকতে যা আবার একটা খরচ সাপেক্ষ। যুগের সাথে তালমিলয়ে সাহিত্য পরিবেশিত হবে এটাই কাম্য। কারণ সাহিত্য সমাজের দর্পণ। সমাজ কী চায়,সাহিত্য সেটা খুব ভালো বোঝে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: ss.ghatal@gmail.com •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।