সৌমেন মিশ্র,রাজনগর: বাবা নেই! সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ থেকেই বাবার অবর্তমানে লঙ্কাগড় দুর্গোৎসবের দায়িত্ব নিল ছেলে সত্যব্রত দোলই। নিজের হাতে মায়ের আদেশে এলাকার বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা সমাজসেবী ড.রজনীকান্ত দোলই লঙ্কাগড় সর্বজনীন দুর্গোৎসবের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু রজনীবাবুর অকাল প্রয়ানে এলাকাবাসী তথা পুজোকমিটি অভিভাবক হীনতায় ভুগছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের পুজোতে আর ছিলনা তেমন কোনো উৎসাহ! বাবু নেই! যাঁর আকুতি ছিল তিনি যেন এই পুজোকে বাঁচিয়ে রাখতে দীর্ঘজীবী হন,এলাকাবাসী যেন সেই কামনাই করেন ভগবানের কাছে। সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের খুঁটি পুজোতে এমনই আকুতি করেছিলেন ড.রজনীকান্ত দোলই,জানালেন রজনীবাবুর ছায়া সঙ্গী তথা পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য দয়াময় মাইতি। খুঁটি পুজোর কিছুদিনের মধ্যেই রজনীবাবু মারা গেলে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে লঙ্কাগড়ের ঐতিহ্যবাহী দুর্গোৎস।
কিন্তু বাবার অপূর্ণ স্বপ্নের বাস্তব রূপদিতে এগিয়ে আসেন রজনীবাবুর ছেলে সত্যব্রত দোলই। তিনি জানিয়ে দেন,পুজো হবে স্বমহিমায়। বাবা বেঁচে থাকবেন এই পুজোর মধ্যেই। বাবার পর এই পুজো গ্রামবাসীদের নিয়ে আমিই চালাবো। কথা শুনে আপ্লুত উৎফুল্লিত এলাকাবাসী। রজনীবাবু নেই কিন্তু এবার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে পুজোর জাঁকজমকে কোনো খামতি রাখেনি এলাকাবাসী।