ঘাটালের বই মেলাতে ভালোই সাড়া মিলেছে

ঘাটাল শহরে    ১২ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি         ১৭তম জেলা বইমেলা হল।     কেমন হল বইমেলা? মানুষ কীরকম ভিড় জমালেন মেলায়? তা নিয়েই   স্থানীয় সংবাদের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ প্রতিবেদন লিখেছেন ‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সিনিয়র রিপোর্টার অরুণাভ বেরা

•এবারের জেলা বইমেলাতে ভালো সাড়া মিলেছে। পাঁচ বছর আগে ঘাটালে বইমেলার থেকে এই বছরের বইমেলাতে  ভিড়ও কেনাকাটা অপেক্ষাকৃত বেশি হয়েছে। বিশেষ করে শেষ তিন দিন ভিড় জমেছিল ভালই। শেষ দুই দিন দুপুরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যাতে ও বহু মানুষ এসেছিলেন। হয়তো বিশাল ভিড়ের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় প্রবেশের দৃশ্য মেলেনি কিন্তু এবারের ভিড় ও মানুষের উৎসাহ উল্লেখের দাবি রাখে। মেলায় শিশু সাহিত্য সংসদ লিমিটেডের  বিশ্বজিৎ দাস বলেন,  ব্যক্তিগত কেনাকাটা তুলনামূলক একটু কম হলেও মানুষ বই দেখেছেন । রূপকথার বই বেশি বিক্রি হয়েছে। মন্দাক্রান্তা  স্টলের রতন সর্দার বললেন, আরও একটু সাড়া আশা করেছিলাম। আনন্দ পাবলিশার্সের  সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায় কথায়, রিটেল বিক্রি তুলনামূলক কম। দে’জ পাবলিশিঙের  সীতারাম বারিক জানালেন, মোটের ওপর মাঝারি মাপের বিক্রি বাটা হয়েছে। শৈব্যা প্রকাশনের  গোপাল ঘোষ বললেন সাড়া ভালো মিলেছে।

মেলা প্রাঙ্গণে দেখা হলো ঘাটাল মহকুমা আদালতের প্রবীণ আইনজীবী ও মেরিট  স্কলারশিপ  ট্রাস্ট এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ পাঠক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  সাথে। তিনি বললেন, আমাদের শহরে বই মেলা হচ্ছে। আমার মনে হয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে তবে এখন তো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চা একটু কমেছে। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার জন্য মানুষ চটজলদি সবকিছু চাইছেন । তবুও বলব আগের চেয়ে সাড়া ভালই আছে। একই মতামত জানালেন বিশিষ্ট বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রশান্ত দত্ত। মেলার সেমিনার কমিটির সভাপতি তথা দন্দিপুর মন্মথ  হাজরা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক শৈবাল ঘোষ বলেন, গত পাঁচ বছর আগের চেয়ে বেশি সাড়া মিলেছে। প্রচুর মানুষ স্টলে বই দেখেছেন, কেনাকাটা ও ভালো হয়েছে । শ্যামসুন্দরপুর রাজকুমার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বাঙাল বললেন, মানুষের যথেষ্ট উৎসাহ আছে। ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুলের  শিক্ষক তাপস মণ্ডল বলেন, প্রতিদিনই বই মেলায় এসেছি, আগের চেয়ে সাড়া ও উৎসাহ বেশি। এক ঝাঁক কলেজ ছাত্র ছাত্রীর সাথে মেলায় কথা হল। ওদের প্রতিক্রিয়া,    ঘাটালে বইমেলা হওয়ার জন্য খুব ভালো লাগছে। আবার তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। লিটিল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়নে ও মানুষ বই দেখেছেন ও কিনেছেন। বই মেলার শেষ দিনের সন্ধ্যায় অনেকেই বলেছেন মন খারাপ হয়ে গেল। কারণ এই মেলা তো প্রতিবছর এখানে হবে না । সব মিলিয়ে বইমেলা ছিল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক এবং মানুষকে বইমুখী করার অনুঘটক ।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!